সোনার তরী কবিতা – সোনার তরী কাব্যগ্রন্থের নামকবিতা অর্থাৎ যে কবিতাটির নামে বইটির নামকরণ করা হয়েছে সে কবিতাটি হলো‘সোনার তরী’। কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতাও ‘সোনার তরী’। এটি বহুল পঠিত ও আলোচিত কবিতার মধ্যে একটি। এই কবিতাটির অর্থ-নিরূপণ নিয়ে যত বাদ-প্রতিবাদ হয়েছে, এমন আর কারো কোনো কবিতা নিয়ে হয়েছে কি না সন্দেহ। সোনার তরী কবিতার অর্থ নানাজনে নানাভাবে করেছেন। যাকে বলে বহুরৈখিকতা। একটি কবিতা পাঠের পর একেকজন পাঠক যখন একেকরকম অর্থ আবিষ্কার করে তখনই কবিতাটি সার্থক।
সোনার তরী
কাব্যগ্রন্থ – সোনার তরী
কবিতার শিরনাম : সোনার তরী
Table of Contents
সোনার তরী কবিতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
গগনে গরজে মেঘ, ঘন বরষা।
কূলে একা বসে আছি, নাহি ভরসা।
রাশি রাশি ভারা ভারা
ধান কাটা হল সারা,
ভরা নদী ক্ষুরধারা
খরপরশা।
কাটিতে কাটিতে ধান এল বরষা।
একখানি ছোটো খেত, আমি একেলা,
চারি দিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।
পরপারে দেখি আঁকা
তরুছায়ামসীমাখা
গ্রামখানি মেঘে ঢাকা
প্রভাতবেলা—
এ পারেতে ছোটো খেত, আমি একেলা।
গান গেয়ে তরী বেয়ে কে আসে পারে,
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ভরা-পালে চলে যায়,
কোনো দিকে নাহি চায়,
ঢেউগুলি নিরুপায়
ভাঙে দু-ধারে—
দেখে যেন মনে হয় চিনি উহারে।
ওগো, তুমি কোথা যাও কোন্ বিদেশে,
বারেক ভিড়াও তরী কূলেতে এসে।
যেয়ো যেথা যেতে চাও,
যারে খুশি তারে দাও,
শুধু তুমি নিয়ে যাও
ক্ষণিক হেসে
আমার সোনার ধান কূলেতে এসে।
আসাদুজ্জামান নুরের আবৃত্তি:
শিক্ষার্থীদের জন্য সোনার তরী ব্যখ্যা করা হয়েছে আমাদের গুরুকুল থেকে:
সায়েম রুম্মানের আলোচনা :
কাজী আজমানই হকের আলোচনা :
আরও পড়ুন:
খোকাবাবুর প্রত্যাবর্তন khokababur protyaborton [ ছোটগল্প,গল্পগুচ্ছ ] – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
তারাপ্রসন্নের কীর্তি taraprosonner kirti [ ছোটগল্প, গল্পগুচ্ছ ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জীবিত ও মৃত jibito o mrito [ ছোটগল্প, গল্পগুচ্ছ ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
জয় পরাজয় joy porajoy [ ছোটগল্প, গল্পগুচ্ছ ] রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর