আকাশে দুই হাতে , পূজা ৩৫৮ | Akashe dui haate

আকাশে দুই হাতে | Akashe dui haate  গানটি পূজা  পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।

আকাশে দুই হাতে , পূজা ৩৫৮ | Akashe dui haate

রাগ: বাউল | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৩২১
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২১ মে, ১৯১৪
রচনাস্থান: রামগড়
স্বরলিপিকার: শৈলজারঞ্জন মজুমদার

আকাশে দুই হাতে , পূজা ৩৫৮ | Akashe dui haate

আকাশে দুই হাতে :

আকাশে দুই হাতে প্রেম বিলায় ও কে!

সে সুধা ছড়িয়ে গেল লোকে লোকে ॥

গাছেরা ভরে নিল সবুজ পাতায়,

ধরণী ধরে নিল আপন মাথায়।

ছেলেরা সকল গায়ে নিল মেখে,

পাখিরা পাখায় পাখায় নিল এঁকে।

ছেলেরা কুড়িয়ে নিল মায়ের বুকে,

মায়েরা দেখে নিল ছেলে মুখে ॥

সে যে ওই অশ্রুধারায় পড়ল গলে।

সে যে ওই বিদীর্ণ বীর-হৃদয় হতে

বহিল মরণরূপী জীবনস্রোতে।

সে যে ওই ভাঙাগড়ার তালে তালে

নেচে যায় দেশে দেশে কালে কালে ॥

 

প্রকৃতির প্রতি কবিতা । prokritir proti kobita | মানসী কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন।

 

অস্তাচলের পরপারে কবিতা । ostacholer poropare kobita | কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ও ভাব তার নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়। কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র ও দুরূহ সুরসৃষ্টি।

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন