“আমারে তুমি অশেষ করেছ” (Amare Tumi Oshesh Korechho) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি ভক্তিমূলক কবিতা। গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থে মোট ১৫৭টি গীতিকবিতা সংকলিত হয়েছে, যার বেশিরভাগেই কবি নিজে সুরারোপ করেছিলেন। এই কাব্যগ্রন্থের কবিতাগুলি ব্রাহ্ম-ভাবাপন্ন ও গভীর আধ্যাত্মিক আবেগে পূর্ণ। “আমারে তুমি অশেষ করেছ” কবিতায় কবি জীবনের প্রতিটি ক্ষণে সৃষ্টিকর্তার অনন্ত লীলা ও দানের কৃতজ্ঞ স্বীকৃতি প্রকাশ করেছেন।
কবিতার মৌলিক তথ্য:
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ: গীতাঞ্জলি
কবিতার নাম: আমারে তুমি অশেষ করেছ
প্রকাশকাল (বঙ্গাব্দ): ৭ বৈশাখ, ১৩১৯
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ): ১৯১২ (প্রথম সংকলন সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত)
প্রথম প্রকাশের স্থান: বিভিন্ন পত্রপত্রিকা (১৯০৮–১৯০৯)
বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: ভক্তিমূলক/আধ্যাত্মিক
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
আমারে তুমি অশেষ করেছ – কবিতার পাঠ:
আমারে তুমি অশেষ করেছ
এমনি লীলা তব |
ফুরায়ে ফেলে আবার ভরেছ
জীবন নব নব |
কত যে গিরি কত যে নদীতীরে
বেড়ালে বহি ছোট এ বাঁশিটিরে,
কত যে তান বাজালে ফিরে ফিরে
কাহারে তাহা কব |
তোমারি এই অমৃতপরশে
আমার হিয়াখানি
হারাল সীমা বিপুল হরষে
উথলি উঠে বাণী |
আমার শুধু একটি মুঠি ভরি
দিতেছ দান দিবস বিভাবরী,
হলনা সারা কত না যুগ ধরি
কেবলি আমি লব |