Site icon Amar Rabindranath [ আমার রবীন্দ্রনাথ ] GOLN

আমার গোধূলিলগন , পূজা ১৪১ | Amar godhulilogon

আমার গোধূলিলগন , পূজা ১৪১ | Amar godhulilogon গানটি পূজা পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।

আমার গোধূলিলগন , পূজা ১৪১ | Amar godhulilogon

রাগ: মিশ্র পূরবী | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৯ পৌষ, ১৩১২
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1905
রচনাস্থান: শান্তিনিকেত

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আমার গোধূলিলগন :

আমার গোধূলিলগন এল বুঝি কাছে গোধূলিলগন রে।

বিবাহের রঙে রাঙা হয়ে আসে সোনার গগন রে।

শেষ ক’রে দিল পাখি গান গাওয়া, নদীর উপরে পড়ে এল হাওয়া;

ও পারের তীর, ভাঙা মন্দির আঁধারে মগন রে।

আসিছে মধুর ঝিল্লিনূপুরে গোধূলিলগন রে ॥

আমার দিন কেটে গেছে কখনো খেলায়, কখনো কত কী কাজে।

এখন কী শুনি পুরবীর সুরে কোন্‌ দূরে বাঁশি বাজে।

বুঝি দেরি নাই, আসে বুঝি আসে, আলোকের আভা লেগেছে আকাশে–

বেলাশেষে মোরে কে সাজাবে, ওরে, নবমিলনের সাজে!

সারা হল কাজ, মিছে কেন আজ ডাক মোরে আর কাজে ॥

আমি জানি যে আমার হয়ে গেছে গণা গোধূলিলগন রে।

ধূসর আলোকে মুদিবে নয়ন অস্তগগন রে।

তখন এ ঘরে কে খুলিবে দ্বার, কে লইবে টানি বাহুটি আমার,

আমায় কে জানে কী মন্ত্রে গানে করিবে মগন রে–

সব গান সেরে আসিবে যখন গোধূলিলগন রে ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও দেখুন :

Exit mobile version