আমার মন মানে , প্রেম ৫৮ | Amar mon mane

আমার মন মানে , প্রেম ৫৮ | Amar mon mane  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

আমার মন মানে , প্রেম ৫৮ | Amar mon mane

রাগ: পিলু-ভীমপলশ্রী-কীর্তন

তাল: একতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯৯

 

আমার মন মানে:

আমার মন মানে না– দিনরজনী।

আমি কী কথা স্মরিয়া এ তনু ভরিয়া পুলক রাখিতে নারি।

ওগো, কী ভাবিয়া মনে এ দুটি নয়নে উথলে নয়নবারি–

ওগো সজনি॥

সে সুধাবচন, সে সুখপরশ, অঙ্গে বাজিছে বাঁশি।

তাই শুনিয়া শুনিয়া আপনার মনে হৃদয় হয় উদাসী–

কেন না জানি॥

ওগো, বাতাসে কী কথা ভেসে চলে আসে, আকাশে কী মুখ জাগে।

ওগো, বনমর্মরে নদীনির্ঝরে কী মধুর সুর লাগে।

ফুলের গন্ধ বন্ধুর মতো জড়ায়ে ধরিছে গলে–

আমি এ কথা, এ ব্যথা, সুখব্যাকুলতা কাহার চরণতলে

দিব নিছনি॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।

১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।

১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়

মন্তব্য করুন