Site icon Amar Rabindranath [ আমার রবীন্দ্রনাথ ] GOLN

এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার , পূজা ২৩৩ | Ebar dukkho amar oshim pathor

এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার | Ebar dukkho amar oshim pathor গানটি রবীন্দ্রনাথের পূজা পর্বের গান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন। ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার | Ebar dukkho amar oshim pathor

রাগ: বাউল | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): 1332
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1925
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার :

এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার পার হল যে, পার হল।

তোমার পায়ে এসে ঠেকল শেষে, সকল সুখের সার হল ॥

এত দিন নয়নধারা বয়েছে বাঁধনহারা,

কেন বয় পাই নি যে তার কূলকিনারা–

আজ গাঁথল কে সেই অশ্রুমালা, তোমার গলার হার হল ॥

তোমার সাঁঝের তারা ডাকল আমায় যখন অন্ধকার হল।

বিরহের ব্যথাখানি খুঁজে তো পায় নি বাণী,

এত দিন নীরব ছিল শরম মানি–

আজ পরশ পেয়ে উঠল গেয়ে, তোমার বীণার তার হল ॥

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

বীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন। ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন। প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন। ১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

আরও দেখুন:

Exit mobile version