ওই রে তরী , পূজা ৪৭৭ | Oi re tori

ওই রে তরী , পূজা ৪৭৭ | Oi re tori  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

ওই রে তরী , পূজা ৪৭৭ | Oi re tori
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

ওই রে তরী , পূজা ৪৭৭ | Oi re tori

রাগ: ভৈরবী

তাল: রূপকড়া

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৩১৭

 

ওই রে তরী , পূজা ৪৭৭ | Oi re tori
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

ওই রে তরী:

 

ওই রে তরী দিল খুলে।

তোর বোঝা কে নেবে তুলে?।

সামনে যখন যাবি ওরে থাক্‌-না পিছন পিছে পড়ে–

পিঠে তারে বইতে গেলি, একলা পড়ে রইলি কূলে ॥

ঘরের বোঝা টেনে টেনে পারের ঘাটে রাখলি এনে–

তাই যে তোরে বারে বারে ফিরতে হল, গেলি ভুলে।

ডাক্‌ রে আবার মাঝিরে ডাক, বোঝা তোমার যাক ভেসে যাক–

জীবনখানি উজাড় করে সঁপে দে তার চরণমূলে ॥

 

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।

আরও দেখুন:

মন্তব্য করুন