Site icon Amar Rabindranath [ আমার রবীন্দ্রনাথ ] GOLN

কান্না হাসির দোল দোলানো ,পূজা ২৩৩ | Kanna hashir dol dolano

কান্না হাসির দোল দোলানো | Kanna hashir dol dolano গানটি রবীন্দ্রনাথের পূজা পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন মূলত এক কবি। মাত্র আট বছর বয়সে তিনি কাব্যরচনা শুরু করেন। তার প্রকাশিত মৌলিক কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা ৫২। তবে বাঙালি সমাজে তার জনপ্রিয়তা প্রধানত সংগীতস্রষ্টা হিসেবে।

কান্না হাসির দোল দোলানো  | Kanna hashir dol dolano

রাগ: কালাংড়া-বাউল | তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): চৈত্র, ১৩২৪
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1918
স্বরলিপিকার: দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর

কান্না হাসির দোল দোলানো :

কান্নাহাসির-দোল-দোলানো পৌষ-ফাগুনের পালা,

তারি মধ্যে চিরজীবন বইব গানের ডালা–

এই কি তোমার খুশি, আমায় তাই পরালে মালা

সুরের-গন্ধ-ঢালা?।

তাই কি আমার ঘুম ছুটেছে, বাঁধ টুটেছে মনে,

খ্যাপা হাওয়ার ঢেউ উঠেছে চিরব্যথার বনে,

কাঁপে আমার দিবানিশার সকল আঁধার আলা!

এই কি তোমার খুশি, আমায় তাই পরালে মালা

সুরের-গন্ধ-ঢালা?।

রাতের বাসা হয় নি বাঁধা দিনের কাজে ত্রুটি,

বিনা কাজের সেবার মাঝে পাই নে আমি ছুটি।

শান্তি কোথায় মোর তরে হায় বিশ্বভুবন-মাঝে,

অশান্তি যে আঘাত করে তাই তো বীণা বাজে।

নিত্য রবে প্রাণ-পোড়ানো গানের আগুন জ্বালা–

এই কি তোমার খুশি, আমায় তাই পরালে মালা

সুরের-গন্ধ-ঢালা?।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ প্রায় দুই হাজার গান লিখেছিলেন। কবিতা ও গান ছাড়াও তিনি ১৩টি উপন্যাস, ৯৫টি ছোটগল্প, ৩৬টি প্রবন্ধ ও গদ্যগ্রন্থ এবং ৩৮টি নাটক রচনা করেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের সমগ্র রচনা রবীন্দ্র রচনাবলী নামে ৩২ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া তার সামগ্রিক চিঠিপত্র উনিশ খণ্ডে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রবর্তিত নৃত্যশৈলী “রবীন্দ্রনৃত্য” নামে পরিচিত। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম জীবনে ছিলেন বিহারীলাল চক্রবর্তীর (১৮৩৫-১৮৯৪) অনুসারী কবি।

তার কবি-কাহিনী, বনফুল ও ভগ্নহৃদয় কাব্য তিনটিতে বিহারীলালের প্রভাব সুস্পষ্ট। সন্ধ্যাসংগীত কাব্যগ্রন্থ থেকে রবীন্দ্রনাথ নিজের বক্তব্য প্রকাশ করতে শুরু করেন।এই পর্বের সন্ধ্যা সঙ্গীত, প্রভাতসংগীত, ছবি ও গান ও কড়ি ও কোমল কাব্যগ্রন্থের মূল বিষয়বস্তু ছিল মানব হৃদয়ের বিষণ্ণতা, আনন্দ, মর্ত্যপ্রীতি ও মানবপ্রেম।

১৮৯০ সালে প্রকাশিত মানসী এবং তার পর প্রকাশিত সোনার তরী (১৮৯৪), চিত্রা (১৮৯৬), চৈতালি (১৮৯৬), কল্পনা (১৯০০) ও ক্ষণিকা (১৯০০) কাব্যগ্রন্থে ফুটে উঠেছে রবীন্দ্রনাথের প্রেম ও সৌন্দর্য সম্পর্কিত রোম্যান্টিক ভাবনা।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

১৯০১ সালে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠার পর রবীন্দ্রনাথের কবিতায় আধ্যাত্মিক চিন্তার প্রাধান্য লক্ষিত হয়। এই চিন্তা ধরা পড়েছে নৈবেদ্য (১৯০১), খেয়া (১৯০৬), গীতাঞ্জলি (১৯১০), গীতিমাল্য (১৯১৪) ও গীতালি (১৯১৪) কাব্যগ্রন্থে।

আরও দেখুন:

Exit mobile version