কে বলে যাও , প্রেম ১৭২ | Ke bole jao

কে বলে যাও , প্রেম ১৭২ | Ke bole jao  রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়।

 

কে বলে যাও , প্রেম ১৭২ | Ke bole jao

রাগ: বেহাগ

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩৩২

 

কে বলে যাও , প্রেম ১৭২ | Ke bole jao
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

কে বলে যাও:

কে বলে ‘যাও যাও’– আমার যাওয়া তো নয় যাওয়া।

টুটবে আগল বারে বারে তোমার দ্বারে,

লাগবে আমায় ফিরে ফিরে ফিরে-আসার হাওয়া ॥

ভাসাও আমায় ভাঁটার টানে অকূল-পানে,

আবার জোয়ার-জলে তীরের তলে ফিরে তরী বাওয়া ॥

পথিক আমি, পথেই বাসা–

আমার যেমন যাওয়া তেমনি আসা।

ভোরের আলোয় আমার তারা

হোক-না হারা,

আবার জ্বলবে সাঁজে আঁধার-মাঝে তারি নীরব চাওয়া ॥

 

কে বলে যাও , প্রেম ১৭২ | Ke bole jao
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।

 

কে বলে যাও , প্রেম ১৭২ | Ke bole jao
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন