কোথায় আলো , পূজা ১৭ | Kothay alo

কোথায় আলো , পূজা ১৭ | Kothay alo  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়।

 

 

কোথায় আলো , পূজা ১৭ | Kothay alo

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩১৬

 

 

কোথায় আলো:

 

কোথায় আলো, কোথায় ওরে আলো।

বিরহানলে জ্বালো রে তারে জ্বালো।

রয়েছে দীপ না আছে শিখা,

এই কি ভালে ছিল রে লিখা–

ইহার চেয়ে মরণ সে যে ভালো।

বিরহানলে প্রদীপখানি জ্বালো।

বেদনাদূতী গাহিছে, “ওরে প্রাণ,

তোমার লাগি জাগেন ভগবান।

নিশীথে ঘন অন্ধকারে

ডাকেন তোরে প্রেমাভিসারে,

দুঃখ দিয়ে রাখেন তোর মান।

তোমার লাগি জাগেন ভগবান।’

গগনতল গিয়েছে মেঘে ভরি,

বাদল-জল পড়িছে ঝরি ঝরি।

এ ঘোর রাতে কিসের লাগি

পরান মম সহসা জাগি

এমন কেন করিছে মরি মরি।

বাদল-জল পড়িছে ঝরি ঝরি।

বিজুলি শুধু ক্ষণিক আভা হানে,

নিবিড়তর তিমির চোখে আনে।

জানি না কোথা অনেক দূরে

বাজিল প্রাণ গভীর সুরে,

সকল গান টানিছে পথপানে।

নিবিড়তর তিমির চোখে আনে।

কোথায় আলো, কোথায় ওরে আলো।

বিরহানলে জ্বালো রে তারে জ্বালো।

ডাকিছে মেঘ, হাঁকিছে হাওয়া,

সময় গেলে হবে না যাওয়া,

নিবিড় নিশা নিকষঘন কালো।

পরান দিয়ে প্রেমের দীপ জ্বালো।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

মন্তব্য করুন