ক্ষত যত ক্ষতি যত , পূজা ৩৩২ | Khoto joto khoti toto

ক্ষত যত ক্ষতি যত , পূজা ৩৩২ | Khoto joto khoti toto  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

ক্ষত যত ক্ষতি যত , পূজা ৩৩২ | Khoto joto khoti toto

রাগ: ভৈরবী

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৩৩

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২৫ নভেম্বর, ১৯২৬

 

 

ক্ষত যত ক্ষতি যত:

 

ক্ষত যত ক্ষতি যত মিছে হতে মিছে,

নিমেষের কুশাঙ্কুর পড়ে রবে নীচে ॥

কী হল না, কী পেলে না, কে তব শোধে নি দেনা

সে সকলই মরীচিকা মিলাইবে পিছে ॥

এই-যে হেরিলে চোখে অপরূপ ছবি

অরুণ গগনতলে প্রভাতের রবি–

এই তো পরম দান সফল করিল প্রাণ,

সত্যের আনন্দরূপ

এই তো জাগিছে ॥

 

রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।

মন্তব্য করুন