গানের ঝরনাতলায় , পূজা ৩০ | Ganer jhornatolay

গানের ঝরনাতলায় , পূজা ৩০ | Ganer jhornatolay  রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।

 

গানের ঝরনাতলায় , পূজা ৩০ | Ganer jhornatolay

রাগ: খাম্বাজ-বাউল

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): পৌষ, ১৩৩১

 

গানের ঝরনাতলায়:

 

গানের ঝরনাতলায় তুমি সাঁঝের বেলায় এলে।

দাও আমারে সোনার-বরন সুরের ধারা ঢেলে ॥

যে সুর গোপন গুহা হতে ছুটে আসে আকুল স্রোতে,

কান্নাসাগর-পানে যে যায় বুকের পাথর ঠেলে ॥

যে সুর উষার বাণী বয়ে আকাশে যায় ভেসে,

রাতের কোলে যায় গো চলে সোনার হাসি হেসে।

যে সুর চাঁপার পেয়ালা ভ’রে দেয় আপনায় উজাড় ক’রে,

যায় চলে যায় চৈত্রদিনের মধুর খেলা খেলে ॥

 

 

‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি। রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্‌ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।

মন্তব্য করুন