গানের সুরের আসনখানি , পূজা ২৪ | Gaaner shurer asholkhani

গানের সুরের আসনখানি , পূজা ২৪ | Gaaner shurer asholkhani রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।

 

 

গানের সুরের আসনখানি , পূজা ২৪ | Gaaner shurer asholkhani

রাগ: কেদার-ছায়ানট

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩২২

 

গানের সুরের আসনখানি:

গানের সুরের আসনখানি পাতি পথের ধারে।

ওগো পথিক, তুমি এসে বসবে বারে বারে ॥

ঐ যে তোমার ভোরের পাখি নিত্য করে ডাকাডাকি,

অরুণ-আলোর খেয়ায় যখন এস ঘাটের পারে,

মোর প্রভাতীর গানখানিতে দাঁড়াও আমার দ্বারে ॥

আজ সকালে মেঘের ছায়া লুটিয়ে পড়ে বনে,

জল ভরেছে ঐ গগনের নীল নয়নের কোণে।

আজকে এলে নতুন বেশে তালের বনে মাঠের শেষে,

অমনি চলে যেয়ো নাকো গোপনসঞ্চারে।

দাঁড়িয়ো আমার মেঘলা গানের বাদল-অন্ধকারে ॥

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।

মন্তব্য করুন