চোখের আলোয় দেখেছিলেম , পূজা ২৫৩ | Chokher aloy dekhechilem

চোখের আলোয় দেখেছিলেম , পূজা ২৫৩ | Chokher aloy dekhechilem  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

 

চোখের আলোয় দেখেছিলেম , পূজা ২৫৩ | Chokher aloy dekhechilem

রাগ: ইমন

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২১ ফাল্গুন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৫ মার্চ, ১৯১৫

 

চোখের আলোয় দেখেছিলেম:

 

চোখের আলোয় দেখেছিলেম চোখের বাহিরে।

অন্তরে আজ দেখব, যখন আলোক নাহি রে॥

ধরায় যখন দাও না ধরা হৃদয় তখন তোমায় ভরা,

এখন তোমার আপন আলোয় তোমায় চাহি রে॥

তোমায় নিয়ে খেলেছিলেম খেলার ঘরেতে।

খেলার পুতুল ভেঙে গেছে প্রলয় ঝড়েতে।

থাক্‌ তবে সেই কেবল খেলা, হোক-না এখন প্রাণের মেলা–

তারের বীণা ভাঙল, হৃদয়-বীণায় গাহি রে॥

 

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত। ৬৪ খণ্ডে প্রকাশিত স্বরবিতান গ্রন্থে রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় গানের স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছে।

মন্তব্য করুন