জানি গো দিন , পূজা ৫৯৪ | Jani go din

জানি গো দিন , পূজা ৫৯৪ | Jani go din  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

জানি গো দিন , পূজা ৫৯৪ | Jani go din

রাগ: রামকেলী-কীর্তন

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২ আশ্বিন, ১৩২০

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯১৩

 

জানি গো দিন:

জানি গো, দিন যাবে এ দিন যাবে।

একদা কোন্‌ বেলাশেষে মলিন রবি করুণ হেসে

শেষ বিদায়ের চাওয়া আমার মুখের পানে চাবে ॥

পথের ধারে বাজবে বেণু, নদীর কূলে চরবে ধেনু,

আঙিনাতে খেলবে শিশু, পাখিরা গান গাবে–

তবুও দিন যাবে এ দিন যাবে ॥

তোমার কাছে আমার এ মিনতি

যাবার আগে জানি যেন আমায় ডেকেছিল কেন

আকাশ-পানে নয়ন তুলে শ্যামল বসুমতী।

কেন নিশার নীরবতা শুনিয়েছিল তারার কথা,

পরানে ঢেউ তুলেছিল কেন দিনের জ্যোতি–

তোমার কাছে আমার এই মিনতি ॥

সাঙ্গ যবে হবে ধরার পালা

যেন আমার গানের শেষে থামতে পারি শমে এসে–

ছয়টি ঋতুর ফুলে ফলে ভরতে পারি ডালা

এই জীবনের আলোকেতে পারি তোমায় দেখে যেতে,

পরিয়ে যেতে পারি তোমায় আমার গলার মালা–

সাঙ্গ যবে হবে ধরার পালা ॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

মন্তব্য করুন