জীবনে যত পূজা , পূজা ২৯৬ | Jibone joto puja

জীবনে যত পূজা , পূজা ২৯৬ | Jibone joto puja  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

জীবনে যত পূজা , পূজা ২৯৬ | Jibone joto puja

রাগ: ভৈরবী

তাল: তেওরা বা রূপকড়া

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৩ শ্রাবণ, ১৩১৭

 

জীবনে যত পূজা , পূজা ২৯৬ | Jibone joto puja
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

জীবনে যত পূজা:

 

জীবনে যত পূজা হল না সারা,

জানি হে জানি তাও হয় নি হারা।

যে ফুল না ফুটিতে ঝরেছে ধরণীতে

যে নদী মরুপথে হারালো ধারা

জানি হে জানি তাও হয় নি হারা॥

জীবনে আজো যাহা রয়েছে পিছে,

জানি হে জানি তাও হয় নি মিছে।

আমার অনাগত আমার অনাহত

তোমার বীণা-তারে বাজিছে তারা–

জানি হে জানি তাও হয় নি হারা॥

 

জীবনে যত পূজা , পূজা ২৯৬ | Jibone joto puja
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

জীবনে যত পূজা , পূজা ২৯৬ | Jibone joto puja
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়।

আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন