“জীবন আমার যে অমৃত” (Jibon Amar Je Omrito) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতালি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি দার্শনিক ও ভক্তিমূলক কবিতা। ১৯১৪ সালে প্রকাশিত গীতালি কাব্যগ্রন্থে অন্তর্নিহিত আনন্দ, আধ্যাত্মিক উপলব্ধি এবং ঈশ্বর দর্শনের আকাঙ্ক্ষা বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। “জীবন আমার যে অমৃত” কবিতায় কবি চিরন্তন আনন্দরূপকে উপলব্ধি করার আকুলতা এবং জীবনের অন্তরালে লুকানো অমৃতসত্তাকে উদ্ঘাটনের বাসনা প্রকাশ করেছেন।
কবিতার মৌলিক তথ্য:
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ: গীতালি
কবিতার নাম: জীবন আমার যে অমৃত
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ): ১৯১৪
বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: দার্শনিক/ভক্তিমূলক
জীবন আমার যে অমৃত – কবিতার পাঠ:
জীবন আমার যে অমৃত
আপন-মাঝে গোপন রাখে
প্রতিদিনের আড়াল ভেঙে
কবে আমি দেখব তাকে।
তাহারি স্বাদ ক্ষণে ক্ষণে
পেয়েছি তো আপন মনে,
গন্ধ তারি মাঝে মাঝে
উদাস ক’রে আমায় ডাকে।
নানা রঙের ছায়ায় বোনা
এই আলোকের অন্তরালে
আনন্দরূপ লুকিয়ে আছে
দেখব না কি যাবার কালে।
যে নিরালায় তোমার দৃষ্টি
আপনি দেখে আপন সৃষ্টি
সেইখানে কি বারেক আমায়
দাঁড় করাবে সবার ফাঁকে।