তাই তোমার আনন্দ , পূজা ২৯৪ | Tai tomar anondo

তাই তোমার আনন্দ , পূজা ২৯৪ | Tai tomar anondo  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

তাই তোমার আনন্দ , পূজা ২৯৪ | Tai tomar anondo

রাগ: দেশ

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৮ আষাঢ়, ১৩১৭

 

 

তাই তোমার আনন্দ:

তাই তোমার আনন্দ আমার ‘পর

তুমি তাই এসেছ নীচে।

আমায় নইলে ত্রিভুবনেশ্বর,

তোমার প্রেম হত যে মিছে।

আমায় নিয়ে মেলেছ এই মেলা,

আমার হিয়ায় চলছে রসের খেলা,

মোর জীবনে বিচিত্ররূপ ধরে

তোমার ইচ্ছা তরঙ্গিছে॥

তাই তো তুমি রাজার রাজা হয়ে

তব আমার হৃদয় লাগি

ফিরছ কত মনোহরণ-বেশে

প্রভু, নিত্য আছ জাগি।

তাই তো, প্রভু, হেথায় এল নেমে,

তোমারি প্রেম ভক্তপ্রাণের প্রেমে,

মূর্তি তোমার যুগল-সম্মিলনে সেথায় পূর্ণ প্রকাশিছে॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন