তুমি যত ভার , পূজা ১০০ | Tumi joto vhar রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।
তুমি যত ভার , পূজা ১০০ | Tumi joto vhar
রাগ: কীর্তন
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩১২

তুমি যত ভার:
তুমি যত ভার দিয়েছ সে ভার করিয়া দিয়েছ সোজা।
আমি যত ভার জমিয়ে তুলেছি সকলই হয়েছে বোঝা।
এ বোঝা আমার নামাও বন্ধু, নামাও–
ভারের বেগেতে চলেছি কোথায়, এ যাত্রা তুমি থামাও ॥
আপনি যে দুখ ডেকে আনি সে-যে জ্বালায় বজ্রানলে–
অঙ্গার ক’রে রেখে যায়, সেথা কোনো ফল নাহি ফলে।
তুমি যাহা দাও সে-যে দুঃখের দান
শ্রাবণধারায় বেদনার রসে সার্থক করে প্রাণ ॥
যেখানে যা-কিছু পেয়েছি কেবলই সকলই করেছি জমা–
যে দেখে সে আজ মাগে-যে হিসাব, কেহ নাহি করে ক্ষমা
এ বোঝা আমার নামাও বন্ধু, নামাও–
ভারের বেগেতে ঠেলিয়া চলেছি, এ যাত্রা মোর থামাও ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।