তোমারি ইচ্ছা হউক , পূজা ১১৩ | tomari iccha hauk

তোমারি ইচ্ছা হউক , পূজা ১১৩ | Tomari iccha hauk  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

তোমারি ইচ্ছা হউক , পূজা ১১৩ | Tomari iccha hauk

রাগ: ভৈরবী

তাল: একতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯৪

 

তোমারি ইচ্ছা হউক , পূজা ১১৩ | Tomari iccha hauk
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

তোমারি ইচ্ছা হউক:

 

তোমারি ইচ্ছা হউক পূর্ণ করুণাময় স্বামী।

তোমারি প্রেম স্মরণে রাখি, চরণে রাখি আশা–

দাও দুঃখ, দাও তাপ, সকলই সহিব আমি ॥

তব প্রেম-আঁখি সতত জাগে, জেনেও না জানি।

ওই মঙ্গলরূপ ভুলি, তাই শোকসাগরে নামি ॥

আনন্দময় তোমার বিশ্ব শোভাসুখপূর্ণ,

আমি আপন দোষে দুঃখ পাই বাসনা-অনুগামী ॥

মোহবন্ধ ছিন্ন করো কঠিন আঘাতে,

অশ্রুসলিলধৌত হৃদয়ে থাকো দিবসযামী।

 

তোমারি ইচ্ছা হউক , পূজা ১১৩ | Tomari iccha hauk
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়।

 

তোমারি ইচ্ছা হউক , পূজা ১১৩ | Tomari iccha hauk
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন