তোমারি নাম বলব , পূজা ১০৫ | Tomari nam bolbo

তোমারি নাম বলব , পূজা ১০৫ | Tomari nam bolbo  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

তোমারি নাম বলব , পূজা ১০৫ | Tomari nam bolbo

রাগ: খাম্বাজ-বাউল

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৮ ভাদ্র, ১৩২০

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ২৪ অগাস্ট, ১৯১৩

 

তোমারি নাম বলব:

 

তোমারি নাম বলব নানা ছলে,

বলব একা বসে আপন মনের ছায়াতলে ॥

বলব বিনা ভাষায়, বলব বিনা আশায়,

বলব মুখের হাসি দিয়ে, বলব চোখের জলে ॥

বিনা প্রয়োজনের ডাকে ডাকব তোমার নাম,

সেই ডাকে মোর শুধু শুধুই পূরবে মনস্কাম।

শিশু যেমন মাকে নামের নেশায় ডাকে,

বলতে পারে এই সুখেতেই মায়ের নাম সে বলে ॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এফআরএএস (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক।তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়।

মন্তব্য করুন