তোমার পতাকা যারে দাও , পূজা ২৩১ | Tomar potaka jare dao

তোমার পতাকা যারে দাও , পূজা ২৩১ | Tomar potaka jare dao  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।

 

তোমার পতাকা যারে দাও , পূজা ২৩১ | Tomar potaka jare dao

রাগ: ভৈরবী

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩০৭

 

তোমার পতাকা যারে দাও:

 

তোমার পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি।

তোমার সেবার মহান দুঃখ সহিবারে দাও ভকতি ॥

আমি তাই চাই ভরিয়া পরান দুঃখের সাথে দুঃখের ত্রাণ,

তোমার হাতের বেদনার দান এড়ায়ে চাহি না মুকতি।

দুখ হবে মম মাথার ভূষণ সাথে যদি দাও ভকতি ॥

যত দিতে চাও কাজ দিয়ো যদি তোমারে না দাও ভুলিতে,

অন্তর যদি জড়াতে না দাও জালজঞ্জালগুলিতে।

বাঁধিয়ো আমায় যত খুশি ডোরে মুক্ত রাখিয়ো তোমা-পানে মোরে,

ধুলায় রাখিয়ো পবিত্র ক’রে তোমার চরণধূলিতে–

ভুলায়ে রাখিয়ো সংসারতলে, তোমারে দিয়ো না ভুলিতে ॥

যে পথে ঘুরিতে দিয়েছ ঘুরিব– যাই যেন তব চরণে,

সব শ্রম যেন বহি লয় মোরে সকলশ্রান্তিহরণে।

দুর্গম পথ এ ভবগহন, কত ত্যাগ শোক বিরহদহন–

জীবনে মৃত্যু করিয়া বহন প্রাণ পাই যেন মরণে–

সন্ধ্যাবেলায় লভি গো কুলায় নিখিলশরণ চরণে ॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

মন্তব্য করুন