তোমার হাতের রাখীখানি , পূজা ৩৪৩ | Tomar hater rakhikhani

তোমার হাতের রাখীখানি , পূজা ৩৪৩ | Tomar hater rakhikhani    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

তোমার হাতের রাখীখানি , পূজা ৩৪৩ | Tomar hater rakhikhani

রাগ: ভৈরবী

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): আশ্বিন, ১৩৩০

 

তোমার হাতের রাখীখানি:

 

তোমার হাতের রাখীখানি বাঁধো আমার দখিন-হাতে

সূর্য যেমন ধরার করে আলোক-রাখী জড়ায় প্রাতে ॥

তোমার আশিস আমার কাজে সফল হবে বিশ্ব-মাঝে,

জ্বলবে তোমার দীপ্ত শিখা আমার সকল বেদনাতে ॥

কর্ম করি যে হাত লয়ে কর্মবাঁধন তারে বাঁধে।

ফলের আশা শিকল হয়ে জড়িয়ে ধরে জটিল ফাঁদে।

তোমার রাখী বাঁধো আঁটি– সকল বাঁধন যাবে কাটি,

কর্ম তখন বীণার মতন বাজবে মধুর মূর্ছনাতে ॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়।

 

১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

মন্তব্য করুন