তোমায় কিছু দেব , পূজা ৫৯ | Tomay kichu debo

তোমায় কিছু দেব , পূজা ৫৯ | Tomay kichu debo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।

 

তোমায় কিছু দেব , পূজা ৫৯ | Tomay kichu debo

রাগ: ভৈরবী

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩২৫

 

তোমায় কিছু দেব , পূজা ৫৯ | Tomay kichu debo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

তোমায় কিছু দেব:

 

তোমায় কিছু দেব ব’লে চায় যে আমার মন,

নাই-বা তোমার থাকল প্রয়োজন ॥

যখন তোমার পেলেম দেখা, অন্ধকারে একা একা

ফিরতেছিলে বিজন গভীর বন।

ইচ্ছা ছিল একটি বাতি জ্বালাই তোমার পথে,

নাই-বা তোমার থাকল প্রয়োজন ॥

দেখেছিলেম হাটের লোকে তোমারে দেয় গালি,

গায়ে তোমার ছড়ায় ধুলাবালি।

অপমানের পথের মাঝে তোমার বীণা নিত্য বাজে

আপন-সুরে-আপনি-নিমগন।

ইচ্ছা ছিল বরণমালা পরাই তোমার গলে,

নাই-বা তোমার থাকল প্রয়োজন ॥

দলে দলে আসে লোকে, রচে তোমার স্তব–

নানা ভাষায় নানান কলরব।

ভিক্ষা লাগি তোমার দ্বারে আঘাত করে বারে বারে

কত-যে শাপ, কত-যে ক্রন্দন।

ইচ্ছা ছিল বিনা পণে আপনাকে দিই পায়ে,

নাই-বা তোমার থাকল প্রয়োজন ॥

 

তোমায় কিছু দেব , পূজা ৫৯ | Tomay kichu debo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

 

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।

 

তোমায় কিছু দেব , পূজা ৫৯ | Tomay kichu debo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন