দুঃখ যে তোর , পূজা ৬১২ | Dukkho je tor

দুঃখ যে তোর , পূজা ৬১২ | Dukkho je tor  গানটি পূজা পর্বের একটি গান | রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।

 

দুঃখ যে তোর , পূজা ৬১২ | Dukkho je tor

রাগ: ভৈরবী

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১ আশ্বিন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৮ সেপ্টেম্বর, ১৯১৪

 

দুঃখ যে তোর , পূজা ৬১২ | Dukkho je tor
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

দুঃখ যে তোর:

 

দুঃখ যে তোর নয় রে চিরন্তন–

পার আছে রে এই সাগরের বিপুল ক্রন্দন ॥

এই জীবনের ব্যথা যত এইখানে সব হবে গত,

চিরপ্রাণের আলয়-মাঝে অনন্ত সান্ত্বন ॥

মরণ যে তোর নয় রে চিরন্তন–

দুয়ার তাহার পেরিয়ে যাবি, ছিঁড়বে রে বন্ধন।

এ বেলা তোর যদি ঝড়ে পূজার কুসুম ঝ’রে পড়ে,

যাবার বেলায় ভরবে থালায় মালা ও চন্দন ॥

 

দুঃখ যে তোর , পূজা ৬১২ | Dukkho je tor
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।

 

দুঃখ যে তোর , পূজা ৬১২ | Dukkho je tor
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন