দুয়ারে দাও মোরে , পূজা ১১৭ | Duyare dao more রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।
দুয়ারে দাও মোরে , পূজা ১১৭ | Duyare dao more
রাগ: দেশ
তাল: একাদশী
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩০৯

দুয়ারে দাও মোরে:
দুয়ারে দাও মোরে রাখিয়া নিত্য কল্যাণ-কাজে হে।
ফিরিব আহ্বান মানিয়া তোমারি রাজ্যের মাঝে হে ॥
মজিয়া অনুখন লালসে রব না পড়িয়া আলসে,
হয়েছ জর্জর জীবন ব্যর্থ দিবসের লাজে হে ॥
আমারে রহে যেন না ঘিরি সতত বহুতর সংশয়ে,
বিবিধ পথে যেন না ফিরি বহুল-সংগ্রহ-আশয়ে।
অনেক নৃপতির শাসনে না রহি শঙ্কিত আসনে,
ফিরিব নির্ভয়গৌরবে তোমারি ভৃত্যের সাজে হে ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে।