দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে দেওয়া , পূজা ৩৪৬ | Dewa newa firiye dewa রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।
দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে দেওয়া , পূজা ৩৪৬ | Dewa newa firiye dewa
রাগ: কাফি-খাম্বাজ
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৯

দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে দেওয়া:
দেওয়া নেওয়া ফিরিয়ে-দেওয়া তোমায় আমায়–
জনম জনম এই চলেছে, মরণ কভু তারে থামায়?।
যখন তোমার গানে আমি জাগি আকাশে চাই তোমার লাগি,
আবার একতারাতে আমার গানে মাটির পানে তোমায় নামায় ॥
ওগো, তোমার সোনার আলোর ধারা, তার ধারি ধার–
আমার কালো মাটির ফুল ফুটিয়ে শোধ করি তার।
আমার শরৎরাতের শেফালিবন সৌরভেতে মাতে যখন
তখন পালটা সে তান লাগে তব শ্রাবণ-রাতের প্রেম-বরিষায় ॥

১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ও ভাব তার নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়। কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র ও দুরূহ সুরসৃষ্টি। তার রচিত সকল গান সংকলিত হয়েছে গীতবিতান গ্রন্থে। এই গ্রন্থের “পূজা”, “প্রেম”, “প্রকৃতি”, “স্বদেশ”, “আনুষ্ঠানিক” ও “বিচিত্র” পর্যায়ে মোট দেড় হাজার গান সংকলিত হয়। পরে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, নাটক, কাব্যগ্রন্থ ও অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ থেকে বহু গান এই বইতে সংকলিত হয়েছিল।