নিত্য নব সত্য তব , পূজা ৩৯০ | Nitto nobo sotto tobo রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।
নিত্য নব সত্য তব , পূজা ৩৯০ | Nitto nobo sotto tobo
রাগ: শুক্ল বিলাবল
তাল: ঝাঁপতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩০১

নিত্য নব সত্য তব:
নিত্য নব সত্য তব শুভ্র আলোকময়
পরিপূর্ণ জ্ঞানময়
কবে হবে বিভাসিত মম চিত্ত-আকাশে?।
রয়েছি বসি দীর্ঘনিশি
চাহিয়া উদয়দিশি
ঊর্ধ্বমুখে করপুটে–
নবসুখ-নবপ্রাণ-নবদিবা-আশে ॥
কী দেখিব, কী জানিব,
না জানি সে কী আনন্দ–
নূতন আলোক আপন মনোমাঝে।
সে আলোকে মহাসুখে
আপন আলয়মুখে
চলে যাব গান গাহি–
কে রহিবে আর দূর পরবাসে ॥

১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ও ভাব তার নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়। কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র ও দুরূহ সুরসৃষ্টি। তার রচিত সকল গান সংকলিত হয়েছে গীতবিতান গ্রন্থে। এই গ্রন্থের “পূজা”, “প্রেম”, “প্রকৃতি”, “স্বদেশ”, “আনুষ্ঠানিক” ও “বিচিত্র” পর্যায়ে মোট দেড় হাজার গান সংকলিত হয়। পরে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, নাটক, কাব্যগ্রন্থ ও অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ থেকে বহু গান এই বইতে সংকলিত হয়েছিল।