পাখি আমার নীড়ের , প্রেম ২২ | Pakhi amar nirer

পাখি আমার নীড়ের , প্রেম ২২ | Pakhi amar nirer  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

 

পাখি আমার নীড়ের , প্রেম ২২ | Pakhi amar nirer

রাগ: ভৈরবী

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): চৈত্র,১৩২৫

 

পাখি আমার নীড়ের:

পাখি আমার নীড়ের পাখি অধীর হল কেন জানি–

আকাশ-কোণে যায় শোনা কি ভোরের আলোর কানাকানি॥

ডাক উঠেছে মেঘে মেঘে অলস পাখা উঠল জেগে–

লাগল তারে উদাসী ওই নীল গগনের পরশখানি॥

আমার নীড়ের পাখি এবার উধাও হল আকাশ-মাঝে

যায় নি কারো সন্ধানে সে, যায় নি যে সে কোনো কাজে।

গানের ভরা উঠল ভরে, চায় দিতে তাই উজাড় করে–

নীরব গানের সাগর-মাঝে আপন প্রাণের সকল বাণী॥

 

তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

মন্তব্য করুন