বহু কোটি-যুগ পরে কবিতা । খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ । Bohu Koti Jug Pore Kobita

“বহু কোটি-যুগ পরে” কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত এক ব্যঞ্জনাময় ও কৌতুকরসাত্মক রচনা। কবি এখানে সমুদ্রজগতের জীববৈচিত্র্যের জাগরণকে এক অভিনব কল্পনার ভঙ্গিতে ফুটিয়ে তুলেছেন। দীর্ঘ যুগ পরে, যখন জলচর প্রাণীদের কণ্ঠস্বরের বর আসে, তখন সমুদ্র হয়ে ওঠে সুরের আর আওয়াজের উৎসবমুখর মঞ্চ। তিমি, চিংড়ি, ইলিশ, শাঁখ, শুশুক—সবাই মিলে যেন এক বর্ণিল বাদ্যযাত্রা শুরু করে। কবিতাটি রসিকতা ও চিত্রধর্মী বর্ণনার মাধ্যমে পাঠকের মনে এক অনাবিল আনন্দের সৃষ্টি করে।

কবিতার মৌলিক তথ্য

  • কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

  • কাব্যগ্রন্থ: খাপছাড়া

  • কবিতার নাম: বহু কোটি-যুগ পরে

  • প্রকাশকাল:

  • বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: কৌতুক ও কল্পবিজ্ঞানধর্মী কবিতা

 

বহু কোটি-যুগ পরে

বহু কোটি যুগ পরে কবিতা | Bohu koti juger pore kobita | খাপছাড়া কাব্যগ্রন্থ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বহু কোটি-যুগ পরে

সহসা বাণীর বরে

জলচর প্রাণীদের

       কণ্ঠটা পাওয়া যেই

সাগর জাগর হল

       কতমতো আওয়াজেই।

তিমি ওঠে গাঁ গাঁ করে;

        চিঁ চিঁ করে চিংড়ি;

ইলিস বেহাগ ভাঁজে

       যেন মধু নিংড়ি;

শাঁখগুলো বাজে, বহে

       দক্ষিণে হাওয়া যেই;

গান গেয়ে শুশুকেরা

       লাগে কুচ-কাওয়াজেই।

মন্তব্য করুন