বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ , পূজা ১৮৭ | Bisshojora fad petecho

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ , পূজা ১৮৭ | Bisshojora fad petecho  রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

 

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ , পূজা ১৮৭ | Bisshojora fad petecho

রাগ: ভৈরবী-বাউল

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৯ আশ্বিন, ১৩২১

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ৬ অক্টোবর, ১৯১৪

 

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ , পূজা ১৮৭ | Bisshojora fad petecho
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ:

 

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ,

কেমনে দিই ফাঁকি–

আধেক ধরা পড়েছি গো,

আধেক আছে বাকি।

কেন জানি আপনা ভুলে

বারেক হৃদয় যায় যে খুলে,

বারেক তারে ঢাকি–

আধেক ধরা পড়েছি যে,

আধেক আছে বাকি।

বাহির আমার শুক্তি যেন

কঠিন আবরণ–

অন্তরে মোর তোমার লাগি

একটি কান্না-ধন।

হৃদয় বলে তোমার দিকে

রইবে চেয়ে অনিমিখে,

চায় না কেন আঁখি–

আধেক ধরা পড়েছি যে,

আধেক আছে বাকি।

 

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ , পূজা ১৮৭ | Bisshojora fad petecho
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

বিশ্বজোড়া ফাঁদ পেতেছ , পূজা ১৮৭ | Bisshojora fad petecho
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন