বিশ্ব যখন নিদ্রামগন , পূজা ১৩৬ | Bissho jokhon nidramogon

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন , পূজা ১৩৬ | Bissho jokhon nidramogon  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন , পূজা ১৩৬ | Bissho jokhon nidramogon

রাগ: বেহাগ

তাল: একতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৪ বৈশাখ, ১৩১৪

 

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন , পূজা ১৩৬ | Bissho jokhon nidramogon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন:

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন, গগন অন্ধকার,

কে দেয় আমার বীণার তারে এমন ঝঙ্কার ॥

নয়নে ঘুম নিল কেড়ে, উঠে বসি শয়ন ছেড়ে–

মেলে আঁখি চেয়ে থাকি, পাই নে দেখা তার ॥

গুঞ্জরিয়া গুঞ্জরিয়া প্রাণ উঠিল পুরে,

জানি নে কোন্‌ বিপুল বাণী বাজে ব্যাকুল সুরে।

কোন্‌ বেদনায় বুঝি না রে হৃদয় ভরা অশ্রুভারে,

পরিয়ে দিতে চাই কাহারে আপন কণ্ঠহার ॥

 

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন , পূজা ১৩৬ | Bissho jokhon nidramogon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত।

 

বিশ্ব যখন নিদ্রামগন , পূজা ১৩৬ | Bissho jokhon nidramogon
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন