মম যৌবননিকুঞ্জে গাহে পাখি , প্রেম ১৩৮ | Momo joubonnikunje gahe pakhi রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।
মম যৌবননিকুঞ্জে গাহে পাখি , প্রেম ১৩৮ | Momo joubonnikunje gahe pakhi
রাগ: কাফি
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩০৪

মম যৌবননিকুঞ্জে গাহে পাখি:
মম যৌবননিকুঞ্জে গাহে পাখি–
সখি, জাগ’ জাগ’
মেলি রাগ-অলস আঁখি–
অনু রাগ-অলস আঁখি সখি, জাগ’ জাগ’॥
আজি চঞ্চল এ নিশীথে
জাগ’ ফাগুনগুণগীতে
অয়ি প্রথমপ্রণয়ভীতে,
মম নন্দন-অটবীতে
পিক মূহু মূহু উঠে ডাকি– সখি, জাগ’ জাগ’॥
জাগ’ নবীন গৌরবে,
নব বকুলসৌরভে,
মৃদু মলয়াবীজনে
জাগ’ নিভৃত নির্জনে।
আজি আকুল ফুলসাজে
জাগ’ মৃদুকম্পিত লাজে,
মম হৃদয়শয়নমাঝে,
শুন মধুর মুরলী বাজে
মমঅন্তরে থাকি থাকি– সখি, জাগ’ জাগ’॥
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন।

আরও দেখুন :