সকল জনম ভরে , পূজা ১৬৩ | Shokol jonom vhore

সকল জনম ভরে , পূজা ১৬৩ | Shokol jonom vhore  রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।

সকল জনম ভরে , পূজা ১৬৩ | Shokol jonom vhore

রাগ: কীর্তন

তাল: মুক্তছন্দ

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩১৮

সকল জনম ভরে:

সকল জনম ভ’রে ও মোর দরদিয়া,

কাঁদি কাঁদাই তোরে ও মোর দরদিয়া ॥

আছ হৃদয়-মাঝে

সেথা কতই ব্যথা বাজে,

ওগো এ কি তোমায় সাজে

ও মোর দরদিয়া?।

এই দুয়ার-দেওয়া ঘরে

কভু আঁধার নাহি সরে,

তবু আছ তারি ‘পরে

ও মোর দরদিয়া।

সেথা আসন হয় নি পাতা,

সেথা মালা হয় নি গাঁথা,

আমার লজ্জাতে হেঁট মাথা

ও মোর দরদিয়া ॥

 

 

‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।

রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্‌ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।

মন্তব্য করুন