সুখহীন নিশিদিন , পূজা ৪৩৯ | Shukhin nishidin

সুখহীন নিশিদিন , পূজা ৪৩৯ | Shukhin nishidin  রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।

 

সুখহীন নিশিদিন , পূজা ৪৩৯ | Shukhin nishidin

রাগ: নট-মল্লার

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩০৬

 

সুখহীন নিশিদিন , পূজা ৪৩৯ | Shukhin nishidin
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

সুখহীন নিশিদিন:

 

সুখহীন নিশিদিন পরাধীন হয়ে ভ্রমিছ দীনপ্রাণে।

সতত হায় ভাবনা শত শত, নিয়ত ভীত পীড়িত–

শির নত কত অপমানে ॥

জানো না রে অধ-ঊর্ধ্বে বাহির-অন্তরে

ঘেরি তোরে নিত্য রাজে সেই অভয়-আশ্রয়।

তোলো আনত শির, ত্যজো রে ভয়ভার,

সতত সরলচিতে চাহো তাঁরি প্রেমমুখপানে ॥

 

সুখহীন নিশিদিন , পূজা ৪৩৯ | Shukhin nishidin
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন।

 

দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন। ১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।

 

সুখহীন নিশিদিন , পূজা ৪৩৯ | Shukhin nishidin
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন