এ যে মোর আবরণ , পূজা ১৬২ | A je mor aboron

এ যে মোর আবরণ , পূজা ১৬২ | A je mor aboron  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

এ যে মোর আবরণ , পূজা ১৬২ | A je mor aboron
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

এ যে মোর আবরণ , পূজা ১৬২ | A je mor aboron

রাগ: অজ্ঞাত

তাল: অজ্ঞাত

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): পৌষ, ১৩১৭

 

এ যে মোর আবরণ , পূজা ১৬২ | A je mor aboron
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

এ যে মোর আবরণ:

 

এ যে মোর আবরণ

ঘুচাতে কতক্ষণ!

নিশ্বাসবায় উড়ে চলে যায়

তুমি কর যদি মন॥

যদি পড়ে থাকি ভূমে

ধূলার ধরণী চুমে,

তুমি তারি লাগি দ্বারে রবে জাগি

এ কেমন তব পণ॥

রথের চাকার রবে

জাগাও জাগাও সবে,

আপনার ঘরে এসো বলভরে

এসো এসো গৌরবে।

ঘুম টুটে যাক চলে,

চিনি যেন প্রভু ব’লে–

ছুটে এসে দ্বারে করি আপনারে

চরণে সমর্পণ ॥

 

 

আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন
আমাদের গুগল নিউজ ফলো করুন

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়।

আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন