ওহে জীবনবল্লভ , পূজা ৪৮০ | Ohe jibonbollov রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

ওহে জীবনবল্লভ , পূজা ৪৮০ | Ohe jibonbollov
রাগ: কীর্তন
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ৮ বৈশাখ, ১৩০১

ওহে জীবনবল্লভ:
ওহে জীবনবল্লভ, ওহে সাধনদুর্লভ,
আমি মর্মের কথা অন্তরব্যথা কিছুই নাহি কব–
শুধু জীবন মন চরণে দিনু বুঝিয়া লহো সব।
আমি কী আর কব ॥
এই সংসারপথসঙ্কট অতি কণ্টকময় হে,
আমি নীরবে যাব হৃদয়ে লয়ে প্রেমমুরতি তব।
আমি কী আর কব ॥
সুখ দুখ সব তুচ্ছ করিনু প্রিয় অপ্রিয় হে–
তুমি নিজ হাতে যাহা সঁপিবে তাহা মাথায় তুলিয়া লব।
আমি কী আর কব ॥
অপরাধ যদি ক’রে থাকি পদে, না করো যদি ক্ষমা,
তবে পরানপ্রিয়, দিয়ো হে দিয়ো বেদনা নব নব।
তবু ফেলো না দূরে, দিবসশেষে ডেকে নিয়ো চরণে–
তুমি ছাড়া আর কী আছে আমার মৃত্যু-আঁধার ভব।
আমি কী আর কব ॥

১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।কিন্তু ১৯১৯ সালে জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে তিনি সেই উপাধি ত্যাগ করেন।১৯২১ সালে গ্রামোন্নয়নের জন্য তিনি শ্রীনিকেতন নামে একটি সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেন।১৯২৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠিত হয়। দীর্ঘজীবনে তিনি বহুবার বিদেশ ভ্রমণ করেন এবং সমগ্র বিশ্বে বিশ্বভ্রাতৃত্বের বাণী প্রচার করেন।১৯৪১ সালে দীর্ঘ রোগভোগের পর কলকাতার পৈত্রিক বাসভবনেই তার মৃত্যু হয়
আরও দেখুন :