জয় জয় পরমা , পূজা ৫৮৫ | Joy joy poroma

জয় জয় পরমা , পূজা ৫৮৫ | Joy joy poroma রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

 

জয় জয় পরমা , পূজা ৫৮৫ | Joy joy poroma

রাগ: আশাবরী-ভৈরবী

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ভাদ্র, ১৩৩০

 

জয় জয় পরমা , পূজা ৫৮৫ | Joy joy poroma
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

জয় জয় পরমা:

 

জয় জয় পরমা নিষ্কৃতি হে, নমি নমি।

জয় জয় পরমা নির্‌বৃতি হে, নমি নমি॥

নমি নমি তোমারে হে অকস্মাৎ,

গ্রন্থিচ্ছদন খরসংঘাত–

লুপ্তি, সুপ্তি, বিস্মৃতি হে, নমি নমি ॥

অশ্রুশ্রাবণপ্লাবন হে, নমি নমি।

পাপক্ষালন পাবন হে, নমি নমি।

সব ভয় ভ্রম ভাবনার

চরমা আবৃতি হে, নমি নমি ॥

 

জয় জয় পরমা , পূজা ৫৮৫ | Joy joy poroma
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়। এই খণ্ডে প্রকাশিত গানগুলি ‘গীতিনাট্য’, ‘নৃত্যনাট্য’, ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’, ‘নাট্যগীতি’, ‘জাতীয় সংগীত’, ‘পূজা ও প্রার্থনা’, ‘আনুষ্ঠানিক সংগীত, ‘প্রেম ও প্রকৃতি’ ইত্যাদি পর্যায়ে বিন্যস্ত।

 

জয় জয় পরমা , পূজা ৫৮৫ | Joy joy poroma
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

আরও দেখুনঃ

 

মন্তব্য করুন