তোমার সুরের ধারা , পূজা ৩ | Tomar shurer dhara

তোমার সুরের ধারা , পূজা ৩ | Tomar shurer dhara  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন। তার মৃত্যুর পর গীতবিতান গ্রন্থের প্রথম দুই খণ্ডে অসংকলিত গানগুলি নিয়ে ১৯৫০ সালে উক্ত গ্রন্থের ৩য় খণ্ড প্রকাশিত হয়।

 

তোমার সুরের ধারা , পূজা ৩ | Tomar shurer dhara

রাগ: বাউল

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৯ ফাল্গুন, ১৩২৮

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৩ মার্চ, ১৯২২

 

 

তোমার সুরের ধারা:

তোমার সুরের ধারা ঝরে যেথায় তারি পারে

দেবে কি গো বাসা আমায় একটি ধারে?।

আমি শুনব ধ্বনি কানে,

আমি ভরব ধ্বনি প্রাণে,

সেই ধ্বনিতে চিত্তবীণায় তার বাঁধিব বারে বারে ॥

আমার নীরব বেলা সেই তোমারি সুরে সুরে

ফুলের ভিতর মধুর মতো উঠবে পুরে।

আমার দিন ফুরাবে যবে,

যখন রাত্রি আঁধার হবে,

হৃদয়ে মোর গানের তারা উঠবে ফুটে সারে সারে ॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

মন্তব্য করুন