তোমারি মধুর রূপে , পূজা ৫২৭ | Tomari modhur rupe

তোমারি মধুর রূপে , পূজা ৫২৭ | Tomari modhur rupe  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।

 

তোমারি মধুর রূপে , পূজা ৫২৭ | Tomari modhur rupe

রাগ: ঝিঁঝিট

তাল: চৌতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯২

 

তোমারি মধুর রূপে:

 

তোমারি মধুর রূপে ভরেছ ভুবন–

মুগ্ধ নয়ন মম, পুলকিত মোহিত মন ॥

তরুণ অরুণ নবীনভাতি, পূর্ণিমাপ্রসন্ন রাতি,

রূপরাশি-বিকশিত-তনু কুসুমবন ॥

তোমা-পানে চাহি সকলে সুন্দর,

রূপ হেরি আকুল অন্তর।

তোমারে ঘেরিয়া ফিরে নিরন্তর তোমার প্রেম চাহি।

উঠে সঙ্গীত তোমার পানে, গগন পূর্ণ প্রেমগানে–

তোমার চরণ করেছে বরণ নিখিলজন ॥

 

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন।

 

১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়। ১৯০৫ সালে তিনি বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯১৫ সালে ব্রিটিশ সরকার তাকে ‘নাইট’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

মন্তব্য করুন