দাও হে আমার , পূজা ৩৮২ | Dao he amar

দাও হে আমার , পূজা ৩৮২ | Dao he amar  ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।

 

দাও হে আমার , পূজা ৩৮২ | Dao he amar

রাগ: বাউল

তাল: ত্রিতাল

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৬ ভাদ্র, ১৩১৬

 

দাও হে আমার , পূজা ৩৮২ | Dao he amar
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

দাও হে আমার:

 

দাও হে আমার ভয় ভেঙে দাও।

আমার দিকে ও মুখ ফিরাও॥

কাছে থেকে চিনতে নারি, কোন্‌ দিকে যে কী নেহারি,

তুমি আমার হৃদ্‌বিহারী হৃদয়পানে হাসিয়া চাও॥

বলো আমায় বলো কথা, গায়ে আমার পরশ করো।

দক্ষিণ হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমায় তুমি তুলে ধরো।

যা বুঝি সব ভুল বুঝি হে, যা খুঁজি সব ভুল খুঁজি হে–

হাসি মিছে,কান্না মিছে, সামনে এসে এ ভুল ঘুচাও॥

 

দাও হে আমার , পূজা ৩৮২ | Dao he amar
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন। দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন।

 

দাও হে আমার , পূজা ৩৮২ | Dao he amar
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন