নাই বা ডাকো , পূজা ১৪২ | nai ba dako

নাই বা ডাকো , পূজা ১৪২ | Nai ba dako  ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।

 

নাই বা ডাকো , পূজা ১৪২ | Nai ba dako

রাগ: তিলক কামোদ

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৬ ভাদ্র, ১৩২১

 

নাই বা ডাকো:

 

নাই বা ডাকো রইব তোমার দ্বারে,

মুখ ফিরালে ফিরব না এইবারে ॥

বসব তোমার পথের ধুলার ‘পরে,

এড়িয়ে আমায় চলবে কেমন করে–

তোমার তরে যে জন গাঁথে মালা

গানের কুসুম জুগিয়ে দেব তারে ॥

রইব তোমার ফসল-খেতের কাছে

যেথায় তোমার পায়ের চিহ্ন আছে।

জেগে রব গভীর উপবাসে

অন্ন তোমার আপনি যেথায় আসে–

যেথায় তুমি লুকিয়ে প্রদীপ জ্বালো

বসে রব সেথায় অন্ধকারে ॥

 

 

১৯০০ সালে শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু করার পর থেকে রবীন্দ্রসংগীত রচনার তৃতীয় পর্বের সূচনা ঘটে।এই সময় রবীন্দ্রনাথ বাউল গানের সুর ও ভাব তার নিজের গানের অঙ্গীভূত করেন।প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর রবীন্দ্রনাথের গান রচনার চতুর্থ পর্বের সূচনা হয়। কবির এই সময়কার গানের বৈশিষ্ট্য ছিল নতুন নতুন ঠাটের প্রয়োগ এবং বিচিত্র ও দুরূহ সুরসৃষ্টি। তার রচিত সকল গান সংকলিত হয়েছে গীতবিতান গ্রন্থে। এই গ্রন্থের “পূজা”, “প্রেম”, “প্রকৃতি”, “স্বদেশ”, “আনুষ্ঠানিক” ও “বিচিত্র” পর্যায়ে মোট দেড় হাজার গান সংকলিত হয়। পরে গীতিনাট্য, নৃত্যনাট্য, নাটক, কাব্যগ্রন্থ ও অন্যান্য সংকলন গ্রন্থ থেকে বহু গান এই বইতে সংকলিত হয়েছিল।

মন্তব্য করুন