নিশা অবসানে কে দিল , পূজা ১৩৫ | Nisha oboshane ke dilo

নিশা অবসানে কে দিল , পূজা ১৩৫ | Nisha oboshane ke dilo  রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।

নিশা অবসানে কে দিল , পূজা ১৩৫ | Nisha oboshane ke dilo

রাগ: মিশ্র রামকেলী

তাল: দাদরা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৩৩৪

রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): ১৫ ডিসেম্বর, ১৯২৭

 

নিশা অবসানে কে দিল , পূজা ১৩৫ | Nisha oboshane ke dilo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

নিশা অবসানে কে দিল:

 

নিশা-অবসানে কে দিল গোপনে আনি

তোমার বিরহ-বেদনা-মানিকখানি ॥

সে ব্যথার দান রাখিব পরানমাঝে–

হারায় না যেন জটিল দিনের কাজে,

বুকে যেন দোলে সকল ভাবনা হানি ॥

চিরদুখ মম চিরসম্পদ হবে,

চরম পূজায় হবে সার্থক কবে।

স্বপনগহন নিবিড়তিমিরতলে

বিহ্বল রাতে সে যেন গোপনে জ্বলে,

সেই তো নীরব তব আহ্বানবাণী ॥

 

নিশা অবসানে কে দিল , পূজা ১৩৫ | Nisha oboshane ke dilo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন। রবীন্দ্র-বিশেষজ্ঞ সুকুমার সেন রবীন্দ্রসংগীত রচনার ইতিহাসে চারটি পর্ব নির্দেশ করেছেন।প্রথম পর্বে তিনি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃষ্ট গীতের অনুসরণে গান রচনা শুরু করেছিলেন।

দ্বিতীয় পর্যায়ে (১৮৮৪-১৯০০) পল্লীগীতি ও কীর্তনের অনুসরণে রবীন্দ্রনাথ নিজস্ব সুরে গান রচনা শুরু করেন।এই পর্বের রবীন্দ্রসংগীতে ঊনবিংশ শতাব্দীর বিশিষ্ট সংগীতস্রষ্টা মধুকান, রামনিধি গুপ্ত, শ্রীধর কথক প্রমুখের প্রভাবও সুস্পষ্ট। এই সময় থেকেই তিনি স্বরচিত কবিতায় সুর দিয়ে গান রচনাও শুরু করেছিলেন।

 

নিশা অবসানে কে দিল , পূজা ১৩৫ | Nisha oboshane ke dilo
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুন :

মন্তব্য করুন