নিশার স্বপন ছুটল রে , পূজা ২৭১ | Nishar shopon chutlo re ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত এবং রবীন্দ্রনাথ বা তার নতুনদাদা জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক সুরারোপিত গানগুলিকেই বোঝায়। রবীন্দ্রনাথের কবিতায় অন্যের সুরারোপিত গানগুলিকে ‘রবীন্দ্রসংগীত’ বর্গভুক্ত করা হয় না। এই কারণে জনপ্রিয় ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ (সুরকার: পঙ্কজকুমার মল্লিক) গানটিকে রবীন্দ্রসঙ্গীত পর্যায়ভুক্ত করা হয়নি।
নিশার স্বপন ছুটল রে , পূজা ২৭১ | Nishar shopon chutlo re
রাগ: ভৈরবী
তাল: দাদরা
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৮ ভাদ্র, ১৩১৬

নিশার স্বপন ছুটল রে:
নিশার স্বপন ছুটল রে, এই ছুটল রে, টুটল বাঁধন টুটল রে।
রইল না আর আড়াল প্রাণে, বেরিয়ে এলেম জগৎ-পানে–
হৃদয়শতদলের সকল দলগুলি এই ফুটল রে, এই ফুটল রে॥
দুয়ার আমার ভেঙে শেষে দাঁড়ালে যেই আপনি এসে
নয়নজলে ভেসে হৃদয় চরণতলে লুটল রে।
আকাশ হতে প্রভাত-আলো আমার পানে হাত বাড়ালো,
ভাঙা কারার দ্বারে আমার জয়ধ্বনি উঠল রে, এই উঠল রে॥

রবীন্দ্রসঙ্গীত হল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত ও সুরারোপিত গান। বাংলা সংগীতের জগতে এই গানগুলি একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ স্থানের অধিকারী। রবীন্দ্রনাথের জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ও আমার সোনার বাংলা গানদুটি যথাক্রমে ভারত ও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জাতীয় সঙ্গীত। এছাড়া ভারতের জাতীয় স্তোত্র বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত বন্দে মাতরম্ গানটিতে রবীন্দ্রনাথই সুরারোপ করেছিলেন।

রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা।রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।
আরও দেখুন :
- আরো একটু বসো , প্রেম ১০৬ | Aro ektu bosho
- আরো কিছুখন নাহয় , প্রেম ৫০ | Aro kichukhon nahoy
- আসা যাওয়ার পথের ধারে , প্রেম ১৯ | Asha jawar pother dhare
- আহা তোমার সঙ্গে , প্রেম ৮৮ | Aha tomar shonge
- আহা জাগি পোহালো , প্রেম ১৩৯ | Aha jagi pohalo