এই বুঝি মোর , প্রেম ১৩৩ | ei bujhi mor

এই বুঝি মোর , প্রেম ১৩৩ | Ei bujhi mor  রবীন্দ্রনাথের সকল গান গীতবিতান নামক সংকলন গ্রন্থে সংকলিত হয়েছে। উক্ত গ্রন্থের ১ম ও ২য় খণ্ডে রবীন্দ্রনাথ নিজেই তার গানগুলিকে ‘পূজা’, ‘স্বদেশ’, ‘প্রেম’, ‘প্রকৃতি’, ‘বিচিত্র’ও ‘আনুষ্ঠানিক’ – এই ছয়টি পর্যায়ে বিন্যস্ত করেছিলেন।

এই বুঝি মোর , প্রেম ১৩৩ | Ei bujhi mor

রাগ: কেদারা

তাল: কাহারবা

রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩২৬

 

এই বুঝি মোর , প্রেম ১৩৩ | Ei bujhi mor
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

এই বুঝি মোর:

এই বুঝি মোর ভোরের তারা এল সাঁঝের তারার বেশে।

অবাক-চোখে ওই চেয়ে রয় চিরদিনের হাসি হেসে।

সকাল বেলা পাই নি দেখা, পাড়ি দিল কখন একা,

নামল আলোক-সাগর-পারে অন্ধকারের ঘাটে এসে॥

সকাল বেলা আমার হৃদয় ভরিয়েছিল পথের গানে,

সন্ধ্যাবেলা বাজায় বীণা কোন্‌ সুরে যে কেই বা জানে।

পরিচয়ের রসের ধারা কিছুতে আর হয় না হারা

বারে বারে নতুন করে চিত্ত আমার ভুলাবে সে॥

 

এই বুঝি মোর , প্রেম ১৩৩ | Ei bujhi mor
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]

রবীন্দ্রনাথ নিজেও সুগায়ক ছিলেন। বিভিন্ন সভাসমিতিতে তিনি স্বরচিত গান পরিবেশন করতেন। কয়েকটি গান তিনি গ্রামোফোন ডিস্কেও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্গীত প্রসঙ্গে কয়েকটি প্রবন্ধও তিনি রচনা করেন। এছাড়া স্বরচিত নাটকেও তিনি নিজের গান ব্যবহার করতেন।

 

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক রচিত মোট গানের সংখ্যা ২২৩২।তার গানের কথায় উপনিষদ্‌, সংস্কৃত সাহিত্য, বৈষ্ণব সাহিত্য ও বাউল দর্শনের প্রভাব সুস্পষ্ট। অন্যদিকে তার গানের সুরে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের (হিন্দুস্তানি ও কর্ণাটকি উভয় প্রকার) ধ্রুপদ, খেয়াল, ঠুমরি, টপ্পা, তরানা, ভজন ইত্যাদি ধারার সুর এবং সেই সঙ্গে বাংলার লোকসঙ্গীত, কীর্তন, রামপ্রসাদী, পাশ্চাত্য ধ্রুপদি সঙ্গীত ও পাশ্চাত্য লোকগীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

 

এই বুঝি মোর , প্রেম ১৩৩ | Ei bujhi mor
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর [ Rabindranath Tagore ]
আরও দেখুনঃ

মন্তব্য করুন