পূর্ণ আনন্দ পূর্ণমঙ্গলরূপে , পূজা ৪১৯ | Purno anondo purnomongolrupe রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।
পূর্ণ আনন্দ পূর্ণমঙ্গলরূপে , পূজা ৪১৯ | Purno anondo purnomongolrupe
রাগ: ইমনকল্যাণ
তাল: চৌতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯৪

পূর্ণ আনন্দ পূর্ণমঙ্গলরূপে:
পূর্ণ-আনন্দ পূর্ণমঙ্গলরূপে হৃদয়ে এসো,
এসো মনোরঞ্জন॥
আলোকে আঁধার হউক চূর্ণ, অমৃতে মৃত্যু করো পূর্ণ–
করো গভীরদারিদ্র৻ভঞ্জন ॥
সকল সংসার দাঁড়াবে সরিয়া তুমি হৃদয়ে আসিছ দেখি–
জ্যোতির্ময় তোমার প্রকাশে শশী তপন পায় লাজ,
সকলের তুমি গর্বগঞ্জন ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা। ১৮৭৮ সালে মাত্র সতেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ প্রথমবার ইংল্যান্ডে যান।
১৮৮৩ সালে মৃণালিনী দেবীর সঙ্গে তার বিবাহ হয়। ১৮৯০ সাল থেকে রবীন্দ্রনাথ পূর্ববঙ্গের শিলাইদহের জমিদারি এস্টেটে বসবাস শুরু করেন। ১৯০১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন এবং সেখানেই পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। ১৯০২ সালে তার পত্নীবিয়োগ হয়।

