ভুবনেশ্বর হে , পূজা ১২২ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৫টি গান রচনা করেছিলেন।ধ্রুপদি ভারতীয় সংগীত, বাংলা লোকসংগীত ও ইউরোপীয় সংগীতের ধারা তিনটিকে আত্মস্থ করে তিনি একটি স্বকীয় সুরশৈলীর জন্ম দেন।রবীন্দ্রনাথ তার বহু কবিতাকে গানে রূপান্তরিত করেছিলেন।
ভুবনেশ্বর হে , পূজা ১২২ | Bhubonesshor he
রাগ: ইমন-ভূপালী
তাল: একতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১৩১২

ভুবনে-শ্বর হে:
ভুবনেশ্বর হে,
মোচন কর’ বন্ধন সব মোচন কর’ হে ॥
প্রভু, মোচন কর’ ভয়,
সব দৈন্য করহ লয়,
নিত্য চকিত চঞ্চল চিত কর’ নিঃসংশয়।
তিমিররাত্রি, অন্ধ যাত্রী,
সম্মুখে তব দীপ্ত দীপ তুলিয়া ধর’ হে ॥
ভুবনেশ্বর হে,
মোচন কর’ জড়বিষাদ মোচন কর’ হে।
প্রভু, তব প্রসন্ন মুখ
সব দুঃখ করুক সুখ,
ধূলিপতিত দুর্বল চিত করহ জাগরূক।
তিমিররাত্রি, অন্ধ যাত্রী,
সম্মুখে তব দীপ্ত দীপ তুলিয়া ধর’ হে ॥
ভুবনেশ্বর হে,
মোচন কর’ স্বার্থপাশ মোচন কর’ হে।
প্রভু, বিরস বিকল প্রাণ,
কর’ প্রেমসলিল দান,
ক্ষতিপীড়িত শঙ্কিত চিত কর’ সম্পদবান।
তিমিররাত্রি, অন্ধ যাত্রী,
সম্মুখে তব দীপ্ত দীপ তুলিয়া ধর’ হে ॥

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।১৮৭৪ সালে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা-এ তার “অভিলাষ” কবিতাটি প্রকাশিত হয়। এটিই ছিল তার প্রথম প্রকাশিত রচনা।