ঐ আসন তলে
রাগ: বাউল
তাল: ত্রিতাল
রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১০ পৌষ, ১৩১৬
রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1909
রচনাস্থান: শান্তিনিকেতন
স্বরলিপিকার: সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, ভীমরাও শাস্ত্রী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (৭ মে ১৮৬১ – ৭ আগস্ট ১৯৪১; ২৫ বৈশাখ ১২৬৮ – ২২ শ্রাবণ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ) ছিলেন অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, সংগীতস্রষ্টা, নাট্যকার, চিত্রকর, ছোটগল্পকার, প্রাবন্ধিক, অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী ও দার্শনিক। তাকে বাংলা ভাষার সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক মনে করা হয়। রবীন্দ্রনাথকে “গুরুদেব”, “কবিগুরু” ও “বিশ্বকবি” অভিধায় ভূষিত করা হয়। রবীন্দ্রনাথের ৫২টি কাব্যগ্রন্থ, ৩৮টি নাটক, ১৩টি উপন্যাস ও ৩৬টি প্রবন্ধ ও অন্যান্য গদ্যসংকলন তার জীবদ্দশায় বা মৃত্যুর অব্যবহিত পরে প্রকাশিত হয়। তার সর্বমোট ৯৫টি ছোটগল্প ও ১৯১৫টি গান যথাক্রমে গল্পগুচ্ছ ও গীতবিতান সংকলনের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় প্রকাশিত ও গ্রন্থাকারে অপ্রকাশিত রচনা ৩২ খণ্ডে রবীন্দ্র রচনাবলী নামে প্রকাশিত হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের যাবতীয় পত্রসাহিত্য উনিশ খণ্ডে চিঠিপত্র ও চারটি পৃথক গ্রন্থে প্রকাশিত। এছাড়া তিনি প্রায় দুই হাজার ছবি এঁকেছিলেন। রবীন্দ্রনাথের রচনা বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। ১৯১৩ সালে গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য তিনি এশীয়দের মধ্যে সাহিত্যে প্রথম নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।
ঐ আসন তলে
ওই আসনতলের মাটির ‘পরে লুটিয়ে রব।
তোমার চরণ-ধুলায় ধুলায় ধূসর হব।
কেন আমায় মান দিয়ে আর দূরে রাখ,
চিরজনম এমন করে ভুলিয়ো নাকো,
অসম্মানে আনো টেনে পায়ে তব।
তোমার চরণ-ধুলায় ধুলায় ধূসর হব॥
আমি তোমার যাত্রীদলের রব পিছে,
স্থান দিয়ো হে আমায় তুমি সবার নীচে।
প্রসাদ লাগি কত লোকে আসে ধেয়ে,
আমি কিছুই চাইব না তো রইব চেয়ে;
সবার শেষে বাকি যা রয় তাহাই লব।
তোমার চরণ-ধুলায় ধুলায় ধূসর হব॥
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের গান বা রবীন্দ্রসঙ্গীত:
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের লেখা ১৯শ’ ১৫টি গানকে প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণ করলে যে চিত্রটি এসে উপস্থিত হয় তাকে সাজালে আমরা বিভিন্নমুখী গান ও সুর মূর্ছনার সন্ধান পাই। এগুলোকে পূজা, প্রেম, প্রকৃতি, দেশাত্তবোধ, অনুষ্ঠান প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে বিভাজিত করা যায়।
এখানে, পূজা পর্বের গান ৬২৯টি, স্বদেশ পর্বের ৪৬টি, প্রেম পর্বের ২৪৮টি, প্রকৃতি নিয়ে ২৮৩টি, বিচিত্র বিষয়ে ১৪০টি, অনুষ্ঠান সম্পর্কিত ২১টি, ভালুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী বিশ্লেষণে কমবেশি ২০টি, নাট্যগীত ১৩২টি, জাতীয় সঙ্গীতরূপী ১৬টি, পূজা ও প্রার্থনা বিষয়ক ৮৩টি, প্রেম ও প্রকৃতি বিষয়ক ১০১টি গান পাওয়া যায়।
রবীন্দ্রনাথের কাব্যসাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ভাবগভীরতা, গীতিধর্মিতা চিত্ররূপময়তা, অধ্যাত্মচেতনা, ঐতিহ্যপ্রীতি, প্রকৃতিপ্রেম, মানবপ্রেম, স্বদেশপ্রেম, বিশ্বপ্রেম, রোম্যান্টিক সৌন্দর্যচেতনা, ভাব, ভাষা, ছন্দ ও আঙ্গিকের বৈচিত্র্য, বাস্তবচেতনা ও প্রগতিচেতনা। রবীন্দ্রনাথের গদ্যভাষাও কাব্যিক।
ভারতের ধ্রুপদি ও লৌকিক সংস্কৃতি এবং পাশ্চাত্য বিজ্ঞানচেতনা ও শিল্পদর্শন তার রচনায় গভীর প্রভাব বিস্তার করেছিল। কথাসাহিত্য ও প্রবন্ধের মাধ্যমে তিনি সমাজ, রাজনীতি ও রাষ্ট্রনীতি সম্পর্কে নিজ মতামত প্রকাশ করেছিলেন। সমাজকল্যাণের উপায় হিসেবে তিনি গ্রামোন্নয়ন ও গ্রামের দরিদ্র মানুষ কে শিক্ষিত করে তোলার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। এর পাশাপাশি সামাজিক ভেদাভেদ, অস্পৃশ্যতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধেও তিনি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন।
আরও দেখুন:
- আমাদের রবীন্দ্র সংগীত তালিকা [ Our covered Rabindra Sangeet List ]
- রবীন্দ্রসঙ্গীতের বর্ণানুক্রমিক সূচী
- নিশীথে ছোটগল্প | Nishithe choto golop | গল্পগুচ্ছ | রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
- দাঁড়িয়ে আছ তুমি আমার – পূজা পর্যায়ের গান, ১৯ [ Dariye Acho Tumi ]
- আনন্দ গান উঠুক তবে বাজি, পূজা ৩০৯ [ Anandagan uthuk tabe baji ]