প্রথম দিনের সূর্য (Prothom Diner Surjo) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষলেখা (১৯৪১) কাব্যগ্রন্থের একটি গভীর দার্শনিক কবিতা। এতে সৃষ্টির প্রথম প্রভাত থেকে জীবনের শেষ সন্ধ্যা পর্যন্ত মানুষের অস্তিত্বের প্রশ্ন ও তার অনন্ত নীরবতার প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে।
Table of Contents
কবিতার মৌলিক তথ্য
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ: শেষলেখা (১৯৪১)
কবিতার নাম: প্রথম দিনের সূর্য
প্রকাশকাল: ১৯৪১
বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: দার্শনিক কবিতা, জীবন ও মৃত্যু, অস্তিত্ববোধ
প্রথম দিনের সূর্য – কবিতার পাঠ
প্রথম দিনেরসূর্য
প্রশ্ন করেছিল
সত্তার নূতন আবির্ভাবে–
কে তুমি,
মেলে নি উত্তর।
বৎসর বৎসর চলে গেল,
দিবসের শেষ সূর্য
শেষ প্রশ্ন উচ্চারিল পশ্চিম-সাগরতীরে,
নিস্তব্ধ সন্ধ্যায়–
কে তুমি,
পেল না উত্তর।
ভাবার্থ
কবিতায় জীবনের সূচনা ও সমাপ্তিকে দুই সূর্যের প্রতীক দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। প্রথম দিনের সূর্য নতুন জীবনের আগমনে প্রশ্ন তোলে—”কে তুমি?” কিন্তু কোনো উত্তর মেলে না। বহু বছর পর জীবনের শেষপ্রান্তে, শেষ দিনের সূর্যও একই প্রশ্ন করে—”কে তুমি?”—এবারও উত্তরহীন থেকে যায়। এটি মানবজীবনের অনন্ত রহস্য, আত্মপরিচয়ের অমীমাংসিত প্রশ্ন এবং অস্তিত্বের নীরবতার গভীর প্রতীক।
শব্দার্থ
সত্তা: জীবনের অস্তিত্ব বা প্রাণের সত্তা
আবির্ভাব: আবির্ভূত হওয়া, প্রকাশ পাওয়া
নিস্তব্ধ: সম্পূর্ণ নীরব, শব্দহীন
অস্তিত্ববোধ: নিজের অস্তিত্ব বা পরিচয় সম্পর্কে সচেতনতা