“অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে” (Ochenake Bhoy Ki Amar Ore) রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গীতালি কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত একটি দার্শনিক ও ভক্তিমূলক কবিতা। ১৯১৪ সালে প্রকাশিত গীতালি কাব্যগ্রন্থে জীবনের গভীর অভিজ্ঞতা, অচেনা পথের প্রতি আকর্ষণ ও ভরসা, এবং অপরিচিতের সান্নিধ্যে আত্মসমর্পণের ভাব বিশেষভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এই কবিতায় কবি অজানার ভয় দূর করে তাকে জীবনের স্বাভাবিক ও অনিবার্য অংশ হিসেবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কবিতার মৌলিক তথ্য:
কবি: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
কাব্যগ্রন্থ: গীতালি
কবিতার নাম: অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে
প্রকাশকাল (খ্রিস্টাব্দ): ১৯১৪
বিষয়ভিত্তিক শ্রেণি: দার্শনিক/ভক্তিমূলক
অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে – কবিতার পাঠ:
অচেনাকে ভয় কী আমার ওরে।
অচেনাকেই চিনে চিনে
উঠবে জীবন ভরে।
জানি জানি আমার চেনা
কোনো কালেই ফুরাবে না,
চিহ্নহারা পথে আমায়
টানবে অচিন-ডোরে।
ছিল আমার মা অচেনা,
নিল আমায় কোলে।
সকল প্রেমই অচেনা গো,
তাই তো হৃদয় দোলে।
অচেনা এই ভুবন-মাঝে
কত সুরেই হৃদয় বাজে,
অচেনা এই জীবন আমার—
বেড়াই তারি ঘোরে।